অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হওয়া বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে বিষয়টির স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিঙ্গাপুর বর্তমানে বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, ইতিমধ্যে দেশটির উদ্যোক্তারা ১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার দ্বিপাকি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) গুলশান সেন্টারে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে এক দ্বিপাকি বাণিজ্য আলোচনা সভায় এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।’ বাংলাদেশের বন্দর, অবকাঠামো, লজিস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের এসএমই খাতের দতা উন্নয়ন ও রফতানি সম্প্রসারণে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, ‘দ বন্দর ব্যবস্থাপনা ও লজিস্টিক সুবিধা বাড়ালে ব্যবসায়িক ব্যয় কমানো সম্ভব, যা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহায়তা করবে।’ তিনি জানান, বাংলাদেশকে লজিস্টিক খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী সিঙ্গাপুর।
রাজস্ব খাতে সংস্কার ও অটোমেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ইএসজি কমপ্লায়েন্স, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পখাতকে টেকসই করতে হবে। সিঙ্গাপুর ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে-যেখানে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ●
অকা/তপ্র/ফর/রাত/২ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 weeks আগে