Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    মঙ্গলবার, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ১১ নভেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    ঋণ আদায়ে আইনগত ব্যবস্থা

    এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৫:৩০ অপরাহ্ণUpdated:এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৫:৩০ অপরাহ্ণ78
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    ● এহসানুল আজিজ

    পর্ব-৪

    জারী মামলা দায়ের

    রায় এবং ডিক্রী পাবার পর বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় আদালতের আদেশ না মানে তবে আদালতের নিকট বাদীর বিষয়টি উল্লেখ করে এবং ডিক্রীর কপি ও প্রয়োজনীয় দলিল আদালতে সোর্পদ করে আদালতের নিকট রায় কার্যকর করার জন্য অর্থাৎ আরো সহজ কথায় বলতে গেলে রায় যেহেতু মানা হচ্ছে না তা মানানোর ব্যব¯হা গ্রহণের জন্য আদালতে একটি আবেদন করতে হয় আর এই আবেদনটি একটি মোকদ্দমা দায়ের করে করতে হয় যাকে আমরা জারী মামলা ব ডিক্রীজারী মামলা বলে থাকি।

    অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়েরের পদ্ধতিতে ততটা জটিলতা থাকে না কিন্তু অর্থজারী মামলাতে নানা রকম জটিলতা থাকে এবং মামলা দায়ের থেকে নিস্পত্তি পর্যন্ত যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। এ অব¯হায় ব্যাংক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা প্রধান কার্যালয়ের আইন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জারী মামলার প্রতিটি ধাপ এবং বিবি-বিধান সর্ম্পকে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল শাকতে হবে বা সম্যক ধারনার অধিকারী হতে হবে যাতে ব্যাংক কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলা বা অসর্তকতার কারণে মামলা যথা ব্যাংক/ আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় । এখানে জারী মামলার বিধিবিধানগুলো এর্ব মামলার ধারাবাহিক কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হল যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবিকে যথাযথ তদারকি, তদবির ও সময়োচিত পদকেক্ষপ গ্রহণের জন্য তাগিদ প্রদান করতে পারেন।

    জারী মামলার জন্য আদালতের নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হয়। এই ফর্মে অন্যান্যের মধ্যে যে সম্পত্তি ক্রোক পূর্বক বিক্রির মাধ্যমে ঋণ আদায় করতে হবে সে সম্পত্তি/সম্পত্তি সমূহের সিডিউল নির্ভূলভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্মে একটি মাত্র সিডিউল পূরণ করার জায়গা আছে । একের অধিক সিডিউল থাকলে ফরমের সঙ্গে আলাদাভাবে কাগজ সংযোজন করে অন্যান্য সিডিউলের বর্ণনা/পূরণ করতে হবে। এখানে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন কওে ও নির্ভূলভঅবে সিডিউল পূরণ সম্পন্ন করতে হবে। এখানে কোন ভুল হলে সংশোধন করা অত্যন্ত কঠিন ও সময় সাপেক্ষ হয় এবং অনেক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। জারী মামলার দরখাস্তের সঙ্গে সমুদয় দলিলাদির কপি, যেমন, টাইটেল ডিগ্রি, বায়া দলিল, নামজারি খতিয়ান, ডিসিআর, সমুদয় চার্জ দলিলাদির কপি ধারাবাহিকভাবে ফিরিস্তি সহ সংযুক্ত করতে হয়। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে যদিও আইনজীবি ব্যাংকের/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এইসব কার্য সম্পাদন করবেন কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্পূর্ন আরজি/দরখাস্ত যাচাই/পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যাতে দরখাস্তে ও সিডিউল বর্ণনায় কোন ভুল না থাকে। মামলার আরজি প্রস্তুতকালে ধারা-৫০(পঞ্চাশ) এর বিধান অনুসারে সুদ আরোপ করে/হিসাব করে দাবি দাখিল করতে হবে। এখানে ধারা ৫০ এর সংশোধিত বিধানগুলো অনুসরণের ধারণার জন্য উপস্থাপন করা হল -

    সুদ, মুনাফা সম্পর্কিত বিধান ( ধারা-৫০)

    (১) আরা-৪৮ এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কোন আদালত, ঋণ প্রদানের দিবস হতে মামলা দায়েরের দিবস পর্যন্ত সময়কালে কোন ঋণের উপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইনানুগভাবে ধার্যকৃত সুদ বা ক্ষেত্রমত, মুনাফা বা ভাড়া কমানো, মাফ বা নামঞ্জুর করতে পারবে না।

    (২) অর্থঋণ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে বিবাদী-দায়িক পক্ষ কোন আপিল,রিভিশন,আপিল বিভাগে আপিল বা অন্য কোনরূপ দরখাস্ত কোন উচ্চতর আদালতে দায়ের না করলে, মামলা দায়েরের দিবস থেকে ডিক্রির টাকা আদায় হবার দিবস পর্যন্ত সময়ের জন্য ডিক্রীকৃত টাকার উপর ১২% বার্ষিক সরল হারে, কোন আপিল,রিভিশন বা অন্যকোন দরখাস্ত কোন উচ্চতর আদালতে দায়ের করলে, পূর্বোক্ত সময়কালের জন্য ৬% বার্ষিক সরল হাওে, এবং আপিল বা উচ্চতর আদালতের ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করলে, পূর্বোক্ত সময়কালের জন্য ১৮% বার্ষিক সরল হারে, উপ-ধারা(৩) এর বিধান সাপেক্ষে সুদ বা ক্ষেত্রমত, মুনাফা আরোপিত হবে।

    (৩) উপ-ধারা(২) এর বিধান সত্বেও উচ্চতর আদালত আপিল,রিভিশন, আপিল বিভাগে আপিল বা অন্যকোন দরখাস্তে আপিলকৃত বা বির্তকিত ডিক্রী বা আদেশের গুনগত পরিবর্তন করে কোনো আদেশ বা ডিক্রী প্রদান করলে, উক্ত আদালত, উপরোল্লিখিত সংশ্লিষ্ট বর্ধিত সৃদ বা মুনাফার হার আপিল বা দরখাস্তকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না মর্মে আদেশ প্রদান করতে পারবে।

    (৪) এই ধারার পূর্ববতী উপ-ধারা সমূহ ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৪১ ও ৪২ এর বিধান অনুযায়ী বিবাদী-দায়িক কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ টাকা বা, ক্ষেত্রমত, জামানত জমা না করে নি¤œ আদালতের আদেশ বা ডিক্রীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভঅবে তর্কিত করে হাইকোর্ট বিভাগে রীট আবেদন দায়ের করেন এবং উক্ত রীট আবেদন হাইকোর্ট বিভাগ বা আপিল বিভাগ কর্তৃক খারিজ হয়, তাহলে উপ-ধারা(২) এ উল্লিখিত সময়ের জন্য ২৫% বার্ষিক সরল হারে বা ক্ষেত্রমত, মুনাফা আরোপিত হবে।

    জারীর জন্য মামলা দাখিলের সময়সীমা (ধারা-২৮)

    (১) ঞযব খরসরঃধঃরড়হ অপঃ,১৯০৮,ঃযব পড়ফব ড়ভ ঈরারষ চৎড়পবফঁৎব,১৯০৮ এ ভিন্নতর যে বিধানই থাকুক না কেন, ডিক্রীদার, আদালতযোগে ডিক্রী বা আদেশ কার্যকর করতে ইচ্ছা করলে, ডিক্রী বা আদেশ প্রদত্ত হওয়ার অনূর্ধ্ধ ১ (এক) বৎসরের মধ্যে ধারা-২৯ এর বিধান সাপেক্ষে জারীর জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করে মামলা করবে।
    (২) উপ-ধারা(১) এর বিধানের ব্যত্যয়, ডিক্রী বা আদেশ প্রদানের পরবর্তী এক বৎসর অতিবাহিত হবার পরে জারীর জন্য দায়েরকৃত কোন মামলা তামাদিতে বারিত হবে এবং অনুরূপ তামাদিতে বারিত মামলা আদালত কার্যার্থে গ্রহণ না কর সরাসরি খারিঝ করবে।

    (৩) জারীর জন্য দ্বিতীয় বা পরবর্তী মামলা, প্রথম বা পূর্ববতী জারীর মামলা খরিজ বা নিস্পত্তি হওয়ার পরবর্তী এক বৎসর সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে দাখিল করা হলে, উক্ত মামলা তামাদিতে বারিত হবে এবং তামাদিতে বারিত অনুরূপ মামলা আদালত কার্যােের্থ গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করবে।

    (৪) জারীর জন্য কোন নতুন মামলা প্রথম জারীর মামলা দাখিলের পরবর্তী ৬(ছয়) বৎসর সময় অতিবহিত হবার পরে দাখিল করা হলে, উক্ত মামলা তামাদিতে বারিত হবে এবং তামাদিতে বারিত অনুরূপ মামলা আদালত কার্যার্থে গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করবে।

    মামলার সময়সীমা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান (ধারা-২৯)

    আদালত, রায় প্রদানের সময় ডিক্রীকৃত টাকা এককালীন অথবা কিস্তিতে পরিশোধের জন্য কোনো সময়সীামা
    অতিক্রান্ত বা অকার্যকর হবার পর থেকে ধারা-২৮(১) এ উল্লেখিত সময়সীমা কার্যকর হবে।

    অতঃপর ডিক্রীকৃত টাকা আদায় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিক্রীদারকে ডিক্রীদেনাদারের বিরুদ্ধে নোটিশ জারীসহ অর্থ ঋণ আদালত আইনের নি¤েœাক্ত বিধানাবলী পরিপালন করতে হবেঃ

    নোটিশ জারী (ধারা-৩০)

    আপাততঃ বলবৎ অব্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, ডিক্রীদার আদালতের জারীকারক কর্র্তৃক
    এবং প্রাপ্তি স্বীকার সহ রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণের নিমিত্ত, জারীর দরখাস্তের সঙ্গে নোটিশ জারীর জন্য সমুদয় তলাবানা আদালতে দাখিল করবেন এবং আদালত অবিলম্বে উহাদের একযোগে জারীর ব্যব¯হা করবেন, এবং যদি সমন ইস্যুও ১৫(পনের) দিবসের মধ্যে জারী হয়ে ফেরত না আসে,অথবা তৎপূর্বে বিনা জারীতে ফেরত আসে, তবে আদালত, এর পরবর্তী ১৫(পনের) দিবসের মধ্যে বাদীর খরচায় যেকোনো একটি বহুল প্রচারিত বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, এবং তদুপরি ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করলে ¯হানীয় একটি পত্রিকায়, যদি থাকে, বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে নোটিশ জারী করাবেন এবং অনুরূপ জারী আইনানুগ জারী মর্মে গণ্য হবে।

    (২) উপধারা (১) অধীন পত্রিকার মাধ্যমে নোটিশ জারীর করবার ক্ষেত্রে ডিক্রীদার লিখিতভাবে আদালতকে যে পত্রিকার নাম অবহিত করবেন আদালত তদুযায়ী উক্ত পত্রিকায় নোটিশ জারী করাবে।

    জারীর কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ (ধারা-৩১)

    অর্থ ঋণ আদালত প্রদত্ত কোন আদেশ বা ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিশন উচ্চতর আদালতে দায়ের করা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জারীর কার্যক্রম ¯হগিত করবে না, উচ্চতর আদালত সুষ্পষ্টভাবে তদুদ্দেশ্যে ¯হগিতাদেশ প্রদান করলেই কেবল জারীর কার্যধারা তদানুযায়ী স্থগিত থাকবে।

    জারীর বিরুদ্ধে আপত্তি (ধারা-৩২)

    (১) ঋণ আদালতের ডিক্রী বা আদেশ হতে উদ্ভূত জারী মামলায় কোন তৃতীয় পক্ষ দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের বিধান মতে দাবি পেশ করলে, আদালত প্রাথমিক বিবেচনায় উক্ত দাবি সরাসরি খারিজ না করলে, ডিক্রীদার অনূর্ধ্ব ৩০ (তিরিশ) দিবসের মধ্যে এর বিরুদ্ধে আপত্তি দায়ের করে শুনানি দাবি করতে পারবেন।
    (২) উপরোক্ত মতে দাবি পেশ করার ক্ষেত্রে, দরখাস্তকারী, ডিক্রীকৃত অর্থের অথবা ডিক্রীকৃত অর্থের আংশিক ইতিমধ্যে আদায় হয়ে থাকলে অনাদায়ী অংশের, ১০% এর সমপরিমাণ জামানত বা বন্ড দাখিল করবে, এবং অনুরূপ জামানত বা বন্ড দাখিল না করলে উক্ত দাবি অগ্রাহ্য হবে।
    (৩) অর্থ ঋণ আদালত, উপ-ধারা(১) এর অধীনে কোন দাবি বিবেচনার্থে গ্রহণ করলে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত আপত্তি দাখিল হওয়ার ৩০ (তিরিশ) দিবসের মধ্যে তা নিস্পন্ন করবে এবং কোন কারণে ৩০(ত্রিশ) দিবসের মধ্যে তা করতে ব্যর্থ হলে, কারণ লিপিবদ্ধ করত: উক্ত সময়সীমা অনূর্ধ্ব আরো ৩০(ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করতে পারবে।
    (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন দাখিলকৃত লিখিত আপত্তি নিস্পন্ন করে আদালত যদি অবধারণ করতে পারে যে, উপ-ধারা(১) এক এর অধীন দাবি সম্বলিত দরখাস্তটি ডিক্রীদারের পাওনা বিলম্বিত বা প্রতিহত করার অসাধু উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল, তাহলে আদালত উক্ত দরখাস্ত খারিজ করবার সময় একই আদেশ দ্বারা উপ-ধারা(২) এর অধীন দাখিলকৃত জামানত বা বন্ড বাজেয়াপ্ত করবে এবং ডিক্রীকৃত টাকা যে পদ্ধতিতে আদায় করা হয়, বাজেয়াপ্ত জামানত বা বন্ডের অধীন টাকা একই পদ্ধতিতে আদালত আদায় করবে এবং আদায়কৃত অর্থ ডিক্রীদারকে প্রদান করবে।

    উপরোক্ত সমুদয় কার্যক্রম ও বিধি-বিধানের আওতায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অনুসরণ করেও ডিক্রীকৃত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে বন্ধকিকৃত সম্পত্তি বা ক্রোকবদ্ধ সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের মাধ্যমে ডিক্রীকৃত টাকা আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ধারা-৩৩ প্রণিধানযোগ্য।

    নিলাম বিক্রয় (ধারা-৩৩)

    (১) অর্থ ঋণ আদালত ডিক্রী বা আদেশ সময় কোন সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাদীর খরচে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখ হতে কমপক্ষে ১৫ (পনের) দিবসের সময় দিয়ে সিলমোহরকৃত টেন্ডার আহ্বান করবে, উক্ত বিজ্ঞপ্তি কমপক্ষে বহুল প্রচারিত একটি বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, তদুপরি ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে স্থানীয় একটি পত্রিকায়, যদি থাকে, প্রকাশ করবে এবং আদালতের নোটিশ বোর্ডে লটকাইয়া স্থানীয়ভাবে ঢোল সহরত যোগেও উক্ত বিজ্ঞ প্রচার করবে।
    (২) প্রত্যেক দরদাতা উদ্ধৃত দর অনূর্ধ্ব ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা হলে এর ২০%, উদ্ধৃত দর ১০,০০,০০০/- (দশ লাখ) টাকা অপেক্ষা অধিক এবং অনূর্ধ্ব ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ) টাকা হলে এর ১৫% এবং উদ্ধৃত দর ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লাখ ) টাকা অপেক্ষা অধিক হলে এর ১০% সমপরিমাণ টাকার, জামানত স্বরূপ, ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার আদালতের অনুকূলে দরপত্রের সঙ্গে দাখিল করবেন।
    ( ২ক) দরপত্র সরাসরি নির্দিষ্ট দরপত্র বাক্সে কিংবা রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপকেক্ষর নিকট প্রেরণের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
    (২খ) অনূর্ধ্ব ১০,০০,০০০/- (দশ লাখ) টাকা উদ্ধৃত দর গৃহীত হবার পরবর্তী ৩০(ত্রিশ) দিবসের মধ্যে,, ১০,০০,০০০/- (দশ লাখ) টাক অপেক্ষা অধিক এবং অনূর্ধ্ব ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লাখ) টাকার উদ্ধৃত দর গৃহীত হবার পরবর্তী ৯০(নব্বই) দিবসের মধ্যে, দরদাতা সমুদয় মূল্য পরিশোধ করবেন এবং তা করতে ব্যর্থ হলে আদালত জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করবেঃ

    তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ডিক্রীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান লিখিত দরখাস্ত দাখিল করে দায়িকের সুবিধার্থে সময়সীমা বর্ধিত করবার জন্য অনুরোধ করলে, আদালত এই উপ-ধারার অধীন নির্ধারিত সময়সীমার অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) দিবস পর্যন্ত বর্ধিত করতে পারবে।
    (২গ) ডিক্রীদারের পক্ষে যদি লিখিতভাবে আদালতকে এই মর্মে অবহিত করা হয় যে. উপ-ধারা(২) এর অধীন দাখিলকৃত দরপত্রে সম্পত্তির প্রস্তাবকৃত মূল্য অস্বাভাবিকভাবে অপর্যাপ্ত বা কম, এবং আদালত যদি তাতে একতম পোষণ করে, তাহলে আদালত, কারণ লিপিবদ্ধ করে, উক্ত দরপ্রস্তাপ অগ্রাহ্য করতে পারবে।

    (৩) উপ-ধারা(২খ) এর অধীনে জামানত বাজেয়াপ্ত হলে উহার অর্থ ডিক্রীদারকে প্রদান করা হবে, ডিক্রীকৃত দাবির সঙ্গে উক্ত অর্থ সমস্বয় করা হবে এবং অতঃপর আদালত, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা কর্তৃক উর্দ্ধৃত দর এবং পূর্বে বাজেয়াপ্তকৃত জামানত একত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা কর্তৃক উর্দ্ধৃত দর অপেক্ষা কম না হলে, উক্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে সম্পত্তি নিলাম খরিদ করতে আহ্বান করবে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা আহুত হবার পর উপ-ধারা(খ) এর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করবেন এবং তা করতে ব্যর্থ হলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং জামানতের উক্ত অর্থ ডিক্রীদারকে ডিক্রীর দাবির সঙ্গে সমন্বয় করবার জন্য প্রদান করা হবে।
    (৪) কোন সম্পত্তি উপ-ধারা(১),(২).(২ক),(২খ),(২গ), ও (৩) এর বিধান অনুসারে নিলামে বিক্রি করা সম্ভব না হলে, আদালত পুনরায় কমপক্ষে বহুল প্রচারিত ২(দুই)টি বাংলা জাতীয় পত্রিকায়, তদুপরি ন্যায় বিচারের স্বার্ধে প্রয়োজনে মনে করলে ¯হানীয় একটি পত্রিকায়, যদি থাকে, উপধারা(১)
    এর অনুরূপ পদ্ধতিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়ে এবং আদালতে নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে ও স্থানীয়ভাবে ঢোল সহতরযোগে সীলমোহরকৃত টেন্ডার আহ্বান করবে এবং বিক্রয় ও বাজেয়াপ্ত বিষয়ে উপ-ধারা (২),(২ক),(২খ),(২ঘ) ও (৩) এ উল্লেখিত বিধান অনুরণ করবে।

    (৪ ক) উপ-ধারা (১) ও (৪) এর অধীন পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি জারী করবার ক্ষেত্রে বাদী লিখিতভাবে আদালতকে যে পত্রিকার নাম অবহিত করবেন আদালত তদুনযায়ী উক্ত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাবে।

    (৫) কোন সম্পত্তি উপধারা(১),(২),(২ক),(২খ),(২গ),(৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে বিক্রয় করা সম্ভব না হলে, উক্ত সম্পত্তি, ডিক্রীকৃত দাবি পরিপূর্নভাবে পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত দখল ও ভোগের অধিকার সহ ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত করা হবে, এবং ডিক্রীদার উপ-ধারা(১),(২),(২ক,(২খ),(২গ),(৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে উক্ত সস্পত্তি বিক্রয় করে অপরিশোধিত ডিক্রীর দাবি আদায় করতে পারবে এবং আদালত ঐ মর্মে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবে।
    (৬) ডিক্রীকৃত অংকের অতিরিক্ত অর্থ বিক্রয় বাবদ আদায় হলে, উক্ত অতিরিক্ত অর্থ দায়িককে ফেরত প্রদান করতে হবে এবং বিক্রিকৃত অর্থ ডিক্রীর দাবি অপেক্ষা কম হলে অবশিষ্ট অর্খ বাবদ,২৮ ধারার বিধান সাপেক্ষে, আরো জারীর মামলা গ্রহনযোগ্য হবে।

    (৬ক) উপ-ধারা(৫) ও (৬) এর বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, যে ক্ষেত্রে কোন সম্পত্তি, দখল ও ভোগের অধিকারসহ, ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত করা সত্বেও ডিক্রীদার উক্ত সম্পত্তি উপযুক্ত মূল্যে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রয় করতে অসমর্থ হন, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির নির্ধারিত মূল্য কিন্তুু যুক্তিসঙ্গত আনুমানিক মূল্য বাদ দিয়ে, ধারা ২৮ এর বিধান সাপেক্ষে জারীর মামলা দায়ের করা যাবে।

    (৬খ) এই ধারায় ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা(৫) এর অধীন কোন সম্পত্তি, দখল ও ভোগের অধিকারকহ, ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত হবার ক্ষেত্রে, অনুরূপ ন্যস্ত হবার ৬(ছয়) বৎসরের মধ্যে উপ-ধারা(৭) এর অধীন ডিক্রীদারের পক্ষে আদালতের নিকট লিখিত আবেদন করে উক্ত সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করা যাবে এবং তা না করা হলে ৬(ছয়) বৎসর উত্তীর্ণ হবার সাথে সাথেই উক্ত সম্পত্তিতে ডিক্রীদারের মালিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বর্তিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট আদালত হতে সে মর্মে ঘোষণা বা সনদ গ্রহণ করা যাবে।

    (৭) উপ-ধারা (৪) ও(৫) এর বিধান সত্বেও, ডিক্রীদার, উল্লেখিত সম্পত্তির মালিকানা স্বত্ব পেতেত আগ্রহী
    মর্মে আদালতের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করলে, আদালত উপ-ধারা (১),(২), (২ক) ,(২খ), (২গ) ও (৩) এর বিধানাবলীর কোনরূপ হানি না ঘটিয়ে উপ-ধারা(১৪) ও (৫) এর কার্যক্রম অনুসরণ করা হতে বিরত থাকবে এবং ডিক্রীদারের প্রার্থিতমতে উল্লিখিত সম্পত্তির স্বত্ব ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত হয়েছে মর্মে ঘোষণা প্রদান পূর্বক সেই মর্মে একটি সনদপত্র জারি করবে এবং জারীকৃত এরূপ সনদপত্র স্বত্বের দলিল হিসেবে গণ্য হবে; এবং আদালত এর একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ¯হানীয় সাব রেজিষ্ট্রারের অফিসে নিবন্ধনের জন্য প্রেরণ করবে।
    (৭ক) উপ-ধারা(৫) বা (৭) এর অধীন সম্পত্তির দখল আদালত যোগে প্রাপ্ত হওয়া আবশ্যক হলে, ডিক্রীদারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত ডিক্রীদারকে উক্ত সম্পত্তির দখল দখল অপর্ণ করতে পারবে।
    (৭খ) উপ-ধারা(৭ক) এর অধীন ডিক্রীদারকে সম্পত্তির দখল অপর্ণ করবার পূর্বে আদালততে পূর্ন কোন পুনঃনিশ্চিত হতে হবে যে, উক্ত সম্পত্তির আইনানুগভাবে এর প্রকৃত মালিক কর্তৃক ডিক্রীর সংল্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে বন্ধক প্রদান করা হয়েছিল অথবা ডিক্রীর কার্যকর করবার লক্ষ্যে দায়িকের প্রকৃত স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি হিসাবে উক্ত সম্পত্তিই ক্রোক করা হয়েছিল।

    (৮) বর্তমানে প্রচলিত অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা(৭) এর অধীনে জারীকৃত সনদপত্র বাবদ কোন কর রেজিষ্ট্রেশন ফি আদায়যোগ্য হবে না।
    (৯) উপ-ধারা(৫) এর অধীনে সম্পত্তির দখল ও ভোগের অধিকার বা উপ-ধারা(৭) এর অধীনে সম্পত্তির স্বত্ব ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত হলে, ধারা ২৮ এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত ডিক্রী জারী মামলার চুড়ান্ত নিস্পত্তি হবে।

    উপরোক্ত সকল প্রচেষ্টা স্বত্বেও ডিক্রীকৃত টাকা আদায়ের ব্যর্থতার পর্যায়ে ডিক্রীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য ডিক্রীদেনাদার/দায়িকের উপর চাপ সৃশ্টি করা বা বাধ্য করার প্রয়াস হিসাবে ডিক্রীদার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করতে পারে। এক্ষেত্রে ধারা-৩৪ প্রণিধানযোগ্য।

    পর্ব-৫

    দেওয়ানী আটকাদেশ (ধারা-৩৪)

    (১) উপ-ধারা(১২) এর বিধান সাপেক্ষে, অর্থ ঋণ আদালত, ডিক্রীদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে, ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করার প্রয়াস হিসাবে দায়িককে ৬(ছয়) মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখতে পারবে।
    (২) উপধারা(১) উল্লিখিত বিধান, মূল ঋণগ্রহীতা মৃত্যুর কারণে পারিবারিক উত্তরাধিকার আইন অনুযায় ¯হলাভিষিক্ত দায়িক ওয়ারিশদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
    (৩) জারী মামলার কোন কোম্পানী (ঈড়সঢ়ধহু), যৌথ কারবারি প্রতিষ্ঠান (ঋরৎস) অথবা অন্য কোন নিগমবদ্ধ সং¯হা ( ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ইড়ফু) এর বিরদ্ধে কার্যকর করতে বিবাদী দায়িক কে দেওয়ানী কারাগারে আটক করা আবশ্যক হলে, উল্লেখিত কোম্পানী, যৌথ কারবারি প্রতিষ্ঠান, বা নিগমবদ্ধ সং¯হা আইন বা বিধি মোতাবেক যে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তির (ঘধঃঁৎধষ চবৎংড়হ) সমন্বয়ে গঠিত বলে গণ্য হবে,সে সকল ব্যক্তি এককভাবে ও যৌথভাবে দেওয়ানী কারাগারে আটকের জন্য দায়ী হবেন।
    (৪) উপ-ধারা(৩) এর বিধান এরূপ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর হবে না যিনি ডিক্রীর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহনের পরবর্তীতে উত্তরাধিকারসূত্রে উপরি-উল্লেখিত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ¯হলাভিষিক্ত হয়েছেন।

    (৫) উপ-ধারা বাতিল এক (১) বা (৩) এর অধীনে দেওয়ানী কারাগারে আটক কোন ব্যক্তি, ডিক্রীর দাবি সম্পূর্নরূপে পরিশোধ না করা পর্যন্ত, অথবা ৬(ছয়) মাসের সময় সীমা অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত, যা পূর্বে হয়, দেওয়ানী কারাগার হতে মুক্তি লাভ করবে না এবং ডিক্রীর সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গে আদালত তাকে দেওয়ানী কারাগার হতে মুক্তির নির্দেশ প্রদান করবে।

    (৬) (৬)উপ-ধারা (৫) এর বিধান সত্বেও দেওয়ানী কারাগারে আটক দায়িক যদি ডিক্রীদারের অপরিশোধিত পাওনার ২৫% এর সম পরিমাণ অর্থ নগদ পরিশোধ করবেন, তবে সে ক্ষেত্রে আদালত দায়িককে মুক্তি প্রদান করবে।

    (৭) উপ-ধারা(৬) এ উল্লেখিত বন্ডের শর্ত মোতাবেক যদি দায়িক অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হস, তবে তিনি পুনরায় গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক হতে দায়ী থাকবেন এবং এইরূপ দেওয়ানী কারাগারে পুনরায় আটকাদেশ হলে, তা ৬(ছয়) মাস পর্যন্ত বহালযোগ্য নতুন আটকাদেশ হিসাবে গণ্য হবে।

    (৮) এই আইনের অধীনে দেওয়ানী কারাগারে আটককৃত ব্যক্তির ভরণপোষণ খরচ সরকার কর্তৃক বিচারধীন আসামির অনুরূপ খরচের ন্যায় বহন করা হবে এবং পরবর্তীকালে সরকার ডিক্রীদারের নিকট হতে সরকারি পাওনা হিসেবে উক্ত খরচের অর্থ আদায় করতে পারবে এবং ডিক্রীদার দায়িকের নিকট থেকে মামলার খরচ বাবদ উক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে।

    (৯) এই ধারার অধীনে আদালত কোন দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করার আদেশ প্রদান করবে না যদি না তৎপূর্বে অন্তত একটি নিলাম বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং উহার দ্বারা ডিক্রীদারের প্রাপ্য পরিপূর্ণভাবে আদায় হয়ে থাকে।

    (১০) যদি কোন কারণে উপ-ধারা(৯) এর অধীন একটিও নিলাম বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হয়,তবে সেই ক্ষেত্রে দায়িককে সরাসরি গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাবে।

    (১১) ১৮(আঠার) বৎসরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তি কে এই ধারার অধীনে ডিক্রী কার্যকর করার নিমিত্তে গ্রেফতার এবং দেওয়ানী কারাগারে আটক করা বা রাখা যাবে না।

    (১২) এই আইনের অধীনে কোন ডিক্রী বা আদেশ বা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিচালিত জারী মামলা, জারী মামলার সংখ্যা একাধিক হলেও, কোন একজন দায়িককে গ্রেফতার কেের পরিপূর্ন মেয়াদেও জন্য একবার দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা হলে, তাকে পুনবার গ্রেপ্তার করা ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাবে না।

    (১৩) এই ধারার অধীনে কোন দায়িককে আংশিক বা পূর্ণ মেয়াদের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার কারণে তিনি দেনার দায় হতে মুক্ত গণ্য হবেন না এবং এই আইনের অধীন নির্ধারিত তামাদি দ্বারা বারিত না হলে, তার বিরুদ্ধে নতুন কওে জারী মামলা দায়ের করা যাবে।

    এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা মামলা তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য বিশেষভঅবে উল্লেখ্য যে, অনেক সময় ডিক্রী দেনাদার বা দায়িক এর বাজারে অনেক পাওনা অনাদায়ী থেকে থাকে। এক্ষেত্রে সেসব পাওনাদারের তালিকা/তথ্য সংগ্রহ করে ডিক্রীর টাকা আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। অর্থঋণ আদালত আইনের ধারা-৩৬ এ ধরণের সুযোগ রয়েছে।

    তৃতীয় পক্ষ থেকে ডিক্রীর টাকা আদায় (ধারা-৩৬)
    (১) যদি ডিক্রীদার আদালতকে দরখাস্ত দ্বারা অবহিত করে যে, কোন একজন ব্যক্তির নিকট হতে দায়িকের টাকা পাওনা আছে, তাহলে আদালত, উক্ত ব্যক্তিকে শুনানি অন্তে যর্থাথ মনে করলে তার নিকট থেকে দায়িক যে টাকা প্রাপ্ত হন, তা হতে ডিক্রীকৃত টাকার সমপরিমাণ টাকা আদালত জমা দানের জন্য লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করবে এবং আদালত, উক্ত টাকা আদায় হওয়ার পর ঐ বাবদ একটি রশিদ প্রদান করবে এবং উক্ত রশিদ দ্বারা ঐ ব্যক্তি দায়িকের নিকট ঐ পরিমাণ অর্থেও জন্য দেনা হতে আইনত ম্ক্তু হবেন।
    (২) প্রচলিত অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্বেও, উপ-ধারা(১) এর বিধানে উল্লেখিত মতে বিবাদী-দায়িক কোন পোষ্ট অফিস,ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনসিওরার এর নিকট হতে কোন টাকা পাওনা হলে, আদালত উক্ত পোষ্ট অফিস,ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠা বা ইনসিওরার এর নিকট হতে ডিক্রী পরিতুষ্ট করার জন্য শুনানি করে সন্তুষ্ট হলে,উক্ত টাকা ক্রোক করে আদায় করতে পারবে, এবং এক্ষেত্রে কোন পাস বই, ডিপোজিট রশিদ, পলিসি কাগজ, অন্য কোন প্রকার দলিল, এন্ট্রি, এনডোর্সমেন্ট বা অনুরূপ অন্য কোন ইন্সষ্ট্রমেন্ট আদালত কর্তৃক পেশ করা আবশ্যক হবে না।
    (৩) উপ-ধারা-(১)ও (২) এর অধীনে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ অমান্য করলে অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের দায়ী ব্যক্তির নিকট হতে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসেবে আদায়যোগ্য হবে, এবং একই আদালত প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট গণ্যে এবং তৎসংল্লিষ্ট ক্ষমতাবলে উক্ত টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় করবে।

    জারি কার্যক্রম নিস্পত্তির সময়সীমা (ধারা-৩৭)
    (১) উপ-ধারা(২) এর বিধান সাপেক্ষে, অর্থ ঋণ আদালত, জারি মামলার কার্যক্রম দরভাস্ত দায়ের হওয়ার পরবর্তী ৯০(নব্বই) দিবসের মধ্যে নিস্পন্ন করবে এবং ব্যর্থতায় আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ উক্ত সময়সীমার অনাধিক আরো ৬০(ষাট) দিবস পর্যন্ত বর্ধিত করতে পারে।
    (২) আদালত, মামলার পক্ষ নহে এরূপ কোনো পক্ষের কোনো দাবি নিষ্পত্তির নিমিত্ত কোন সময় এই আইনের ৩২ ধারার অধীনে ব্যয় করলে, অথবা কিস্তিতে টাকা ডিক্রিকৃত টাকা পরিশোধের জন্য কোন সময় ৪৯ ধারার অধীনে দায়িককে মঞ্জুর করলে উক্ত সময় উপধারা(১) এ বর্ণিত সময়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।
    এখানে ব্যাংক কর্মকর্তা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য উল্লেখ করা যেতে পারে যে জারী মামলা এর কার্যক্রম চলাকালীন যে কোন পর্যায় ডিক্রীদেনাদার বা দায়িক আদালতের বাইরে দায়দেনা নিস্পত্তির জন্য এগিয়ে এলে ব্যাংক দ্বিপাক্ষিকভঅব আলোচনাক্রমে নিস্পত্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ কালে ব্যাংক,ক্ষেত্রমত,অর্পিত ক্ষমতার বাইরে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে দায় পরিশোধের সমঝোতার শর্তাবলী সহ আদালতকে অবহিত করবে। আদালত এক্ষেত্রে নিস্পত্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হলে সন্তুষ্ট হলে জারী মামলা চুড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করে আদেশ প্রদান করবে। দায়িক গ্রাহক যদি পরবর্তীতে আপোষনামার শর্ত ভঙ্গ করে তবে অর্থঋণ আদালতের বিধান অনুযায়ী জারী মামলা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। আলোচ্য ক্ষেত্রে অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ধারা ৩৮ প্রণিধানযোগ্য।

    জারী পর্যায়ে মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি (ধারা-৩৮)
    (১) এই আইনের অধীন অর্থঋণ আদালত মামলায় প্রদত্ত ডিক্রীর ধারাবাহিকতায় জারী কার্যক্রম অব্যাহত থাকার যে কোন পর্যায়ে পক্ষগণ মধ্য¯হতার মাধ্যমে জারী মামলার বিষয়বস্তু নিস্পত্তি করে আদালতকে অবহিত করতে পারবে।
    (২) উপ-ধারা(১) এর অধীন মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ধারা ২২ এর উপর উপ-ধারা(২) (৩) ও (৪) এ উল্লেখিত বিধান অনুসরণ করতে হবে।
    (৩) আদালত, উপ-ধারা(১) এর অধীন অবহিত হলে এবং নিস্পত্তির বিষয়ে সন্তষ্ট হলে, উক্ত জারী মোকাদ্দমা চুড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করে আদেশ প্রদান করবে।
    আলোচ্য ক্ষেত্রে দায়িক যদি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দায় পরিশোধে এগিয়ে না আসে এবং উচ্চতর আদালতে আপিল দায়ের করে তবে অর্থ ঋণ আদালতে আইনের ধারা-৪১ অনুযায়ী কার্যক্রম গৃহীত হবে।

    আপিল দায়ের ও নিস্পত্তি সম্পর্কিত বিশেষ বিধান (ধারা-৪১)
    (১) মামলার কোনো পক্ষ, কোন অর্থঋণ আদালতে আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা সংক্ষুব্ধ হলে, যদি ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অপেক্ষা অধিক হয়, তবে উপ-ধারা ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অথবা তার চেয়ে কম হয়, তাহলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে জেলা জজ আদালতে আপিল করকে পারবেন।
    (২) আপীলকারী, ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণের ৫০% এর সমপরিমাণ টাকা বাদীর দাবির আংশিক স্বীকৃতিস্বরূপ নগদ ডিক্রীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা বাদী দাবির স্বীকার না করলে, জামানতস্বরূপ ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে জমা করে উক্তরূপ জমার প্রমাণ দরখাস্ত বা আপিলের মেমোর সঙ্গে আদালতে দাখিল না করলে, উপ-ধারা(১) এর অধীন কোন আপিল কার্যার্থে গৃহীত হবে না।
    (৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্বেও, বিবাদী দায়িক ইতিমধ্যে ১৯(৩) ধারার বিধান মতে ১০% (দশ শতাংশ) পরিমাণ টাকা নগদ অথবা জামানত হিসাবে জমা করে থাকলে, অত্র ধারার অধীনে আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে উক্ত ১০% (দশ শতাংশ) টাকা উপরি উল্লিখিত ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) টাকা হতে বাদ হবে।
    (৪) উপরি-উল্লিখিত বিধানাবলী সত্বেও, বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার অধীনে কোন আপীল দায়ের করলে, উহাকে উপরি-উল্লিখিত মতে কোন টাকা বা জামানত জমা দান করতে হবে না।
    (৫) জেলা জজ কোনো আপিল গ্রহণ করা মাত্রই লিখিতভাবে উল্লেখ করবেন যে, তিনি নিজেই উক্ত আপীল শুনানি করবেন কি না এবং তিনি নিজে উক্ত আপীল শুনানি না করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে, অনতিবিলম্বে উক্ত আপীলটি শুনানির জন্য তার অধিক্ষেত্রের অধীন কোন একজন অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট, যদি থাকে, প্রেরণ করবেন এবং কোন একজন অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকলে, জেলা জজ নিজেই উক্ত আপীল শ্রবণ করবেন।
    (৬) আপীল আদালত, আপীল গৃহীত হবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে এবং ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে আদালত, লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, উক্ত সময়সীমা অনধিক আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করতে পারবে।

    রিভিশন দায়ের ও নিষ্পত্তি সম্পর্কিত বিধান (ধারা-৪২)
    (১) আদালত আপীলে প্রদত্ত রায় বা ডিক্রীর বিরুদ্ধে কোন রিভিশনের দরখাস্ত গ্রহণ করবে না, যদি না দরখাস্তকারী, আপীল আদালত কর্তৃক প্রদত্ত বা বহালকৃত ডিক্রীর টাকার ৭৫% এর সমপরিমাণ টাকা, আপীল দায়ের কালে দাখিলকৃত ৫০% টাকা সমেত, উক্ত পরিমাণ টাকার স্বীকৃতিস্বরূপ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা বাদীর দাবী স্বীকার না করলে জামানত স্বরূপে ব্যাংক ড্রাফট, পে অর্ডার বা নগদায়নযোগ্য অন্য কোন বিনিময় দলিল (Negoatiable Instrument) আকারে ডিক্রী প্রদানকারী আদালদে জমা করে উক্তরূপ জমার প্রমাণ দরখাস্তের সঙ্গে আদালতে দাখিল করেন।
    (২) উপ-ধারা(১) এর বিধান সত্বেও, বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার অধীনে রিভিশন দায়ের করলে, উহাকে উপরি-উল্লিখিত মতে কোন টাকা বা জামানত জমা বা দাখিল করতে হবে না।
    (৩) উচ্চতর আদালত, রিভিশন এর দরখাস্ত গৃহীত হবার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে এবং ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে রিভিশন নিস্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে, আদালত, লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, উক্ত সময়সীমা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করতে পারবে।

    সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল (ধারা-৪৩)
    এই আইনের অধীনে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আপীল আ রিভিশনে প্রদত্ত কোন রায়ম ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল দায়েরের জন্য ঋণগ্রহীতা বিবাদীকে আপীল বিভাগ অনুমতি প্রদান করার ক্ষেত্রে, সঙ্গত মনে করলে, ৪২(১) ধারার অনুরূপ পদ্ধতিতে ডিক্রীকৃত টাকার অপরিশোধিত অবশিষ্টাংশের যে কোন পরিমাণ টাকা নগদ বাদী-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জামানত স্বরূপ ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে জমাদান করার আদেশ প্রদান করতে পারবে।
    অন্তবর্তীকালীন আদেশ (ধারা-৪৪)
    (১) অর্থ ঋণ আদালত, মামলার সঠিক ও পরিপূর্ন বিচার ও ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে এবং বিচার কার্যক্রমের অপব্যবহার প্রতিরোধকল্পে যেরূপ অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা সঙ্গত মনে করবে, সেরূপ অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করতে পারবে।
    (২) উপ-ধারা(৩) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীনে কোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন অন্তবর্তীকালীন আদেশকে উচ্চতর কোন আদালতে আপীল বা রিভিশন আকারে বিতর্কিত করাি যাবে না।
    (৩) উপ-ধারা(২) এর বিধান সত্বেও, কোন পক্ষ ধারা-৪১ এর অধীন দায়েরকৃত আপীলে এইরূপ কোন বিষয় যুক্তি হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে, যা উপরি-উল্লিখিত বিধানের কারণে বিতর্কিত করা যায় নাই এবং আপীল আদালত ঐরূপ বিষয় বিবেচনায় গ্রহণ করে ন্যায় বিচারের স্বার্থে উপযুক্ত যে কোনো আদেশ প্রদান করতে পারবে।

    আপীল বা রিভিশনের পর্যায়ে মধ্যস্থতার ধারা-(৪৪ ক)
    (১) সপ্তম পরিচ্ছদের অধীন আপীল বা রিভিশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকার যে কোন পর্যায়ে পক্ষগণ
    মধ্য¯হতার মাধ্যমে আপীল বা রিভিশন মামলার বিষয়বস্তুু নিস্পত্তি করে আদালতকে অবহিত করতে পারবে।
    (২) উপ-ধারা(১) এর অধীন মধ্য¯হতার ক্ষেত্রে ধারা-২২ এর উপধারা(২),(৩) ও (৪) এর বিধান অনুসরণ করতে হবে।
    (৩) আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হলে এবং নিস্পত্তির বিষয়ে সন্তষ্ট হলে, উক্ত আপীল বা রিভিশন মামলা চুড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করে আদেশ প্রদান করবে।

    মামলায় আপোষ নিস্পত্তির (ধারা-৪৫)
    (১) এই আইনের কোন কিছুই, বিচার কার্যক্রমের পরবর্তী যে কোন পর্যায়ে, কোন মামলার আপোষ নিস্পত্তি করা থেকে পক্ষগণকে বারিত করবে না।
    (২) উপ-ধারা(১) এর অধীনে প্রদত্ত মামলার আপোষ নিস্পত্তির সুযোগ এই আইনে মামলা নিস্পত্তির জন্য ব্যব¯িহত অন্যান্য পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়সীমার হানি বা ব্যত্যয় ঘটাতে পারবে না।

    ঋণের কিস্তি (ধারা-৪৯)
    (১) উপ-ধারা(৩) এর বিধান সাপেক্ষে অর্থ ঋণ আদালত, বিবাদী-দায়িকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বা স্বীয় উদ্যেগে উপযুক্ত মনে করলে, ডিক্রীকৃত টাকা ১ (এক) বৎসরে ৪ (চার) টি সম কিস্তিতে পরিশোধের জন্য দায়িককে সুযোগ প্রদান করতে পারবে।
    (২) বাদী-ডিক্রীদার সম্মত থাকলে, উপ-ধারা(৩) এর বিধান সাপেক্ষে, ডিক্রীকৃত টাকা ৩ (তিন) বৎসওে ১২(বার) টি সম কিস্তিতে পরিশোধের জন্য আদালত, দায়িককে সুযোগ প্রদান করতে পারবে।
    (৩) উপ-ধারা(১) বা (২) এ উল্লেখিত কোন একটি কিস্তি বকেয়া হওয়া মাত্রই সমুদয় বকেয়া তখনই পরিশোধির্তব্য হবে এবং তদ্উদ্দেশ্যে জারী কার্যক্রম যথাবিধি অনুসৃত হবে।

    পরিশেষে উল্লেখ্য যে, আলোচ্য আর্টিকেলে অর্থঋণ আদালত আইনের গুরুত্বপূর্ন বিধানাবলী, আদালতে গৃহীত কার্যক্রম ও পদক্ষেপসমূহ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায় ও মামলা তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সম্যক ধারণার জন্য উপ¯হাপিত হলো। আইনের গুরুত্বপূর্ন বিধানাবলী, আদালতের বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপের বিষয়ে ধারনা থাকলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের জন্য সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হবে বলে ধারনা করা যায়। মামলা তদারকিতে অবহেলা বা আদালতের প্রয়োজনীয় অবগতি ও তদবিরের অভাবে অনেক সময় দায়েরকৃত মামলায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ স্বার্থ সংরক্ষণ ব্যাাহত হতে পারে। সেজন্য ঋণ আদায় ও মামলা তদারকিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাতের অত্যন্ত সর্তকতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখানে বিষেভাবে মনে রাখতে হবে যে, যে অর্থ ঋণ আদালত আইনম আইনগত ব্যব¯হার মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আদায়ে অত্যন্ত সমর্থক ও সহায়ত। অনেক সময় ঋণের বিপরীতে বন্ধকীকৃত জামানত অপ্রতুল থাকে। সেক্ষেত্রে বন্ধকীকৃত নয়, দায়িকের পরবর্তীতে অনুসন্ধান কালে আদায়যোগ্য কোন সম্পদ পাওয়া গেলে তাও ক্রোকবদ্ধ করে ঋণ আদায় নিশ্চিত করা যায় অর্থ ঋণ আদালত আইনে সে সুযোগও রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের জন্য প্রয়োজন সময়োচিত সঠিক সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গ্রহণ। ●

    অকা/নিলে/সন্ধ্যা, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

    লেখক সাবেক ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও নিয়মিত লেখক

    ihsanul1919@gmail.com

     

    সর্বশেষ হালনাগাদ 2 years আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    তালের অর্থনীতি ও বজ্রপাত মোকাবেলা

    অর্থনৈতিক সাশ্রয়- টবে কাঁচা মরিচ উৎপাদন

    অপ্রয়োজনীয় সার ব্যবহারে আলুর উৎপাদনে ক্ষতি

    বৈদেশিক বাণিজ্যে ডলার বনাম দুদেশের মুদ্রা

    সীমিত আয়ের মানুষের দুঃখগাথা

    পর্যটন খাত হতে পারে অর্থনীতির সচল চাকা

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    ২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১.৫৫ লাখ কোটি
    সংকটে দেশের আর্থিক খাত

    বিএসইসির উদ্যোগ – বন্ধ হচ্ছে মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ড

    আকু পরিশোধে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে

    অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত – পিএমআই সূচকে রেকর্ড সম্প্রসারণ

    বাংলাদেশে আসছে ‘ওপেন ব্যাংকিং’

    নতুন মার্জিন বিধিমালা – বিনিয়োগে কড়াকড়ি ও নতুন কাঠামো

    চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকে সোনালী লাইফের ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ বেড়েছে

    বাংলাদেশ-পাকিস্তান : নৌ ও আকাশপথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ

    ব্যাংক খাতের মূলধন ঘাটতি পূরণে টেকসই অর্থায়ন কাঠামোর প্রয়োজন

    ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে টেকসই অর্থায়নে শেয়ার বাজারের ভূমিকা জোরদারের আহ্বান

    বাংলালিংকের মাইবিএল সুপার অ্যাপ প্লে­স্টোরে দেশে সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন

    বাজারে অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের অভিযোগ
    পেঁয়াজের দাম ফের অগ্নিমূল্যে

    বস্ত্রখাতে ডিভিডেন্ড চিত্র – ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির ঘোষণায় বৈচিত্র্য

    বেঙ্গল ইসলামি লাইফের পরিচালক ইকবাল হোসেন বাজুসের সহ সভাপতি নির্বাচিত

    রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যাংকিং সংকটে নতুন উদ্বেগ
    টানা তিন মাসে রফতানি আয় হ্রাস

    গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বছরে বৈদেশিক বিনিয়োগে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি

    খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে বড় পদক্ষেপ
    বিদেশে পাচার করা অর্থও অনুসন্ধান করবে অর্থঋণ আদালত

    ব্যাংকিং খাতে মুনাফার নতুন সূত্র
    ঋণ নয়, সরকারি বন্ডই এখন লাইফলাইন

    ই-রিটার্নে করদাতার অংশগ্রহণ নতুন উচ্চতায়
    এনবিআরের ডিজিটাল কর ব্যবস্থাপনায় গতি

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.